কেন এই বইয়ের দাম ১ লাখ টাকা?

প্রথম কথা হলো, এই বইয়ের দাম ১ লাখ নয়। এটা আপনার পরবর্তী ১০ কোটি টাকার রোডম্যাপের এন্ট্রি ফি ।

একটা বইয়ের দাম লাখ টাকা? পাগল নাকি?

না। বরং আপনি এতদিন ধরে যে জ্ঞানকে ফ্রি বলে অবমূল্যায়ন করেছেন, আজ আমি তার আসল মূল্য জানিয়ে দিচ্ছি।

দাম নয়, এটা হলো এক্সপ্রেশন অফ ভ্যালু।

তাই বলে একটা বইয়ের দাম ১ লাখ টাকা? তাও বাংলাদেশের মার্কেটে ?

হ্যাঁ। কারণ এই বই ঘড়ি না, কিন্তু সময় বদলায়। ডিগ্রী না, কিন্তু ক্যারিয়ার গড়ে। জুতা না, কিন্তু আপনাকে সামনে এগিয়ে দেয়।

প্রাইসিং হলো পজিশনিং।

Apple যখন iPhone লাখ টাকায় বিক্রি শুরু করেছিল, অনেকেই বলেছিল, পাগল! আজ আপনি আমেরিকার জন্য চুপচাপ লাইনে দাঁড়িয়ে যাই।

Dom Pérignon একটাবোতল ৫০,০০০ টাকায় বিক্রি করে। কারণ তারা স্রেফ পানীয় না, Prestige বিক্রি করে। HERMÈS একটাভ্যানিটি ব্যাগ ৩০ লাখে বেচে। কিভাবে? তারা মূলত বেচে স্ট্যাটাস, সিম্পল আনসফিটিকেশন।

এই বইও ঠিক তেমনি।

এটা স্রেফ জ্ঞান নয়।

এটা আপনার ব্র্যান্ডের প্রেস্টিজ।

এটা আপনার বিজনেস ক্লাসে টিকিট।

এটা আপনার লাভের লিভারেজ।

ফ্রি শেখা

=

সস্তা ফলাফল। দামি শেখা = হাই ইন্টিগ্রেটেড অ্যাকশন। সিঙ্গাপুরের অর্কিড প্লাজায় আমি একদিন একটা ঘড়ি দেখছিলাম, Louis Vuitton-এর একটি ঘড়ি। দাম: ৪ মিলিয়ন ডলার।

বাংলা টাকায় প্রায় ৫০ কোটি টাকা।

ঘড়ি তো সময়ই বলে, তাইনা? এত দামি একটা ঘড়ি কিন্তু দিনে ২৪ ঘণ্টার জায়গায় ২৫ ঘণ্টা দিবে না। এক মিনিটও এক্সট্রা পাব না। তাহলে এমন দাম কেন?

কারণ...

দাম সময়ের জন্য নয়,

দাম দেওয়া হয় গল্প, স্ট্যাটাস আর গভীরতার জন্য।

তাহলে, একটা বই কেন লাখ টাকা হবে না?