ছোট্ট বন্ধুরা !
কেমন আছো তোমরা ! কিছুটা দেরী হয়ে গেলো তোমাদের কাছে আসতে, নতুন জলসার নতুন হাদিয়া নিয়ে। তবে আশা করি, তোমরা বেশ আনন্দের মধ্যেই আছো । কারণ তোমাদের জীবন এখন অতিবাহিত হচ্ছে সীরাতুন্নবীর আলো-ছায়ায়! সীরাতুন্নবীর স্নিগ্ধ আবহে ও আবহাওয়ায়! এর চেয়ে বড় সৌভাগ্য ও প্রশান্তি আর কী হতে পারে একজন মুসলিম শিশুর জন্য, একজন মুসলিম কিশোরের জন্য ! এ পর্যন্ত সীরাতের কয়টি জলসা হলো? হাঁ, দেখতে দেখতে চারটি জলসা হয়ে গিয়েছে। প্রথম ও দ্বিতীয় জলসায় তোমাদের আমি নবীজীর জন্ম থেকে মৃত্যু পর্যন্ত এবং বিলাদাত থেকে ওয়াফাত পর্যন্ত জীবনকাহিনী শুনিয়েছি। কীভাবে তিনি মা আমিনার ঘর আলো করে, জগতের জন্য রহমত হয়ে দুনিয়াতে এসেছেন! কবি কত সুন্দর করে বলেছেন- আয়রে সাগর আকাশ বাতাস দেখবি যদি আয়/....
তারপর জাবালে নূরের হেরা গুহায় কীভাবে তিনি নবুয়ত লাভ করলেন? কীভাবে দশবছর মক্কায় সত্যের ডাক এবং ঈমানের দাওয়াত পৌঁছালেন! সেজন্য কোরায়শের কত যুলুম নির্যাতন ভোগ করলেন!
তারপর আল্লাহ্র হুকুমে মদীনায় হিজরত করলেন। সেখানে তেরবছরের মেহনত-মুজাহাদার মাধ্যমে কীভাবে ইসলামের শান্তি -সমাজ গড়ে তুললেন! কীভাবে আল্লাহ্র রহমতে ইসলাম সারা আরবে ছড়িয়ে পড়লো! কীভাবে বিদায় হজ্ব সম্পন্ন হলো! তারপর কীভাবে আল্লাহ্ হাবীব আল্লাহ্র সঙ্গে মিলনের উদ্দেশ্যে উম্মতের কাছ থেকে বিদায় গ্রহণ করলেন! কীভাবে তাঁর ওয়াফাত ও মৃত্যু হলো, এসব ঘটনা যথাসম্ভব সুন্দরভাবে এবং বিশুদ্ধভাবে তোমাদের শুনিয়েছি।...