বাদশাহ সুলায়মান (আঃ) ও রাণী বিলকিস (হার্ডকভার)

প্রসঙ্গ কথা
সমস্ত প্রশংসা পরম করুণাময় আল্লাহ তায়ালার যিনি সর্বশক্তিমান ও সর্বজ্ঞ সত্তা। যিনি মাত্র ছয়দিনে নিখিলবিশ্ব ও আকাশমণ্ডল সৃষ্টি করেছেন । তিনি নিখিল বিশ্বকে সাজিয়েছেন তাঁর পছন্দের সৃষ্ট জীব ও মানব জাতি দ্বারা । চন্দ্র-সূর্য, গ্রহ-উপগ্রহ দ্বারা সাজিয়েছেন আকাশমণ্ডলীকে । জীব জগত ও বস্তু জগত-এ দুটি এই নিখিল বিশ্বেরই একটা অংশ। সৃষ্ট জগতের নিরাপত্তার স্থায়িত্ব, গতিবিধি সবকিছুর তিনিই নিয়ামক। তিনি এক ও অদ্বিতীয়। তার ইচ্ছায় সৃষ্ট জগতের জীবজন্তু, পাহাড়-পর্বত, নদ-নদী, বৃক্ষ-তরু-লতা সবই যথা নিয়মে পরিচালিত হচ্ছে। সর্বশক্তিমান আল্লাহ দুনিয়াতে অযথা কিছুই সৃষ্টি করেননি। পবিত্র সত্তা পবিত্র উদ্দেশ্য সামনে রেখেই সব কিছু করেছেন। মানব সৃষ্টির উদ্দেশ্য বিবৃত করে আল্লাহ তায়ালা কোরআনে পাকে এরশাদ করেছেন- “আমি জ্বীন ও মানব জাতিকে একমাত্র আমার ইবাদতের উদ্দেশ্যেই সৃষ্টি করেছি” ।
মহান আল্লাহর উদ্দেশ্য যেখানে মানব জাতিকে তাঁর ইবাদত বন্দেগীতে বাধ্য করে রাখা। আর এতেই যেখানে তাঁর সন্তুষ্টি নিহিত, তাই যে মানুষ ইবাদতের মাধ্যমে আল্লাহর সন্তুষ্টি অর্জন করতে সক্ষম হবে তার ইহ ও পরকাল উভয়ই সাফল্যমণ্ডিত হবে। যেহেতু আল্লাহ পাক মানব জাতিকে সৃষ্টিকুলের শ্রেষ্ঠ করে সৃষ্টি করেছেন, জ্ঞান দ্বারা পরিপুষ্ট করেছেন, তাই কিসে আল্লাহর সন্তুষ্টি আর কিসে অসন্তুষ্টি তা তারা আল্লাহর দেয়া সেই জ্ঞান বা বিবেক দ্বারাই বেছে নেবে। অবজ্ঞান তো বটেই; কিন্তু তা নিছক ব্যক্তি পর্যায়ভূক্ত যাকে সহজে দিক্ হারা হওয়াকে উড়িয়ে দেয়া যায় না। তাই তো মহান আল্লাহ মানব জাতিকে অবজ্ঞান বা ভুল পথের পংকিলতা থেকে সঠিক সরল পথে পরিচালিত করার উদ্দেশ্যে মানবের মধ্য থেকে যুগে যুগে একদল বান্দাকে প্রেরণ করেছেন- যারা নবী-রাসূল রূপে পরিচিত। তারাই মানুষের সৎপথ তথা আল্লাহর সন্তুষ্টি লাভের দিশারী। হযরত আদম (আ.) থেকে শুরু করে যুগে যুগে বহু নবী-রাসূলের এ জগতে আগমন ঘটেছে। বিশ্বের সর্বশ্রেষ্ঠ মহামানব হযরত মুহাম্মদ (সা.) পর্যন্ত এসে এ ধারার সমাপ্তি ঘটেছে। কিয়ামত পর্যন্ত আর কোনো নবী বা রাসূল আসবেন না।