আলাওল পদ্মাবতী
Category: Literature & Fiction Poem
আলাওল পদ্মাবতী: আহমদ পাবলিশিং হাউজ
Explore our products and add items to your cart.
Sub-Total : | ৳0 |
Category: Literature & Fiction Poem
আলাওল পদ্মাবতী: আহমদ পাবলিশিং হাউজ
Title | আলাওল পদ্মাবতী |
---|---|
Publisher | আহমদ পাবলিশিং হাউজ |
Country | Bangladesh |
Language | Bangla |
Description | পদ্মাবতী : ভূমিকার কিছু অংশ লিখিত বাংলা রচনার আদিরূপ চর্যাগীতিকায় পাওয়া যায়, বিভিন্ন পণ্ডিত কর্তৃক নানাভাবে স্বীকৃত হওয়ার পর এ তথ্য গৃহীত হয়েছে। এ-কারণে ভাষা-বিজ্ঞানীদের কাছে চর্যাগীতিকা অনেক মূল্যবান । প্রাথমিক অবস্থা থেকে বাংলা কি করে ক্রমান্বয়ে মধ্যযুগে স্বীকৃত বাণী-ভঙ্গিতে পরিণত হল সে, আলোচনার জন্য চর্যাগীতিকা পণ্ডিতদের গবেষণার কাজে অনেক সহায়ক হয়েছে। কিন্তু ভাষার ক্ষেত্রে চর্যাগীতিকার উপঢৌকনের কথা বাদ দিলে কাব্যক্ষেত্রে চর্যাগীতিকার মধ্যে নির্ণেয় কোনও আনন্দ থাকে কিনা তা বিবেচনা করা বিশেষ প্রয়োজন। এ গীতিকাগুলো বৌদ্ধ সিদ্ধাচার্যগণের গোপন সাধনার অলঙ্কার বিশেষ এবং সাঙ্কেতিকতার সাহায্যে সাধনার গুপ্ত তত্ত্ব এর মধ্যে উপস্থিত করা হয়েছে। এর মধ্যে যে সমস্ত আচারের উল্লেখ আছে এবং মহাসুখ উপভোগের জন্য যে সমস্ত মুদ্রার ব্যাখ্যা আছে, তাতে প্রমাণিত হয় যে, যে সমাজে এ গীতিকাগুলো প্রচলিত ছিল সে সমাজ ছিল পতনোন্মুখ, দুর্বল এবং অস্থির। সিদ্ধাচার্যগণ শাস্ত্রাগমকে নিন্দা করেছেন এবং শাস্ত্রজ্ঞানীকে মূঢ় ভেবেছেন। অশিক্ষিত জনতাকে আকর্ষণ করবার এর চেয়ে সহজ পন্থা আর হতে পারে না। এ সমস্ত চর্যাগীতিকায় উল্লিখিত গূঢ় সাধনার জনসাধারণ অতি সহজেই ব্রহ্মজ্ঞানী হবার আশায় শাস্ত্র এবং জ্ঞান-পরান্মুখ হয়ে পড়ে। মানব জীবনের অতি সহজ এবং সর্ব সামান্য অনুভূতিগুলোকে অস্বীকার করে একটি কঠোর এবং জীবন তাপের বহির্ভূত সাধনাকে এখানে প্রাধান্য দেওয়া হয়েছে। যদিও রূপক ব্যজ্ঞনায় নদী, মাটি এবং বৃক্ষলতা এবং কখনো কখনো সমাজের নিম্নস্তরের নর-নারী এ সমস্ত রচনার ভাবোন্মেষ-সূত্রে ব্যবহৃত হয়েছে, কিন্তু মূলত মানবজীবন এখানে গৌণ। এগুলো প্রধানত সাম্প্রদায়িক উপদেশ, সাধারণ মানুষের ধারণা-বাসনার উদ্বোধন এখানে নেই। চর্যাগীতির পর মধ্যযুগের বাংলা সাহিত্যের যে বিস্তৃত ধারা, তাঁর মধ্যেও প্রধানত দেবতা ও ধর্মের গৌরব বর্ণিত হয়েছে। কখনও কখনও কাব্যগত চরিত্র অঙ্কিত হয়েছে বৈষ্ণবদের প্রভু চৈতন্যের এবং সে-সূত্রে কাব্যাত্মক আখ্যান কিছু পেয়েছি। বৈষ্ণব রসতত্ত্ব অবলম্বনে গীত রচিত হয়েছে, প্রণয়ের আশ্লেষ সেখানে আছে কিন্তু প্রণয় বা রিরংসার রূপকে সেখানে মূলত ভক্তি 'এবং নিবেদন প্রতিষ্ঠিত হয়েছে। অনুবাদ হয়েছে মহাভারতের, রামায়ণের এবং ভাগবতের । শূন্যপুরাণ এবং ধর্মপূজার অন্যান্য আখ্যানে মানুষের অসহায়তা এবং দেব-নির্ভরতায় বর্ণনা দুর্বল আসক্তির সঙ্গে করা হয়েছে। মধ্যযুগের হিন্দুদের রচিত সাহিত্য সাম্প্রদায়িক সিদ্ধান্তে প্রবল। মানুষের জীবনের আকাঙ্ক্ষা, বিভিন্ন কর্মপ্রেরণার হেতু, আশঙ্কা এবং আশ্বাসের প্রয়োজনে আনন্দ বাঙালী হিন্দু কবিদের মুখ্য বিচার্য বিষয় কখনও ছিল না। ধর্মকে উপলক্ষ করে বিভিন্ন আচার বা সাধন-প্রক্রিয়ার সহচর হিসেবে কবিতা রচিত হয়েছে, তাই সমগ্র প্রাচীন ও মধ্যযুগের বাংলা কবিতায় সহজিয়া তান্ত্রিক, শৈব ও বৈষ্ণব মতবাদের এত উৎসাহ ও প্রতিষ্ঠা। ভারতের পূর্বাঞ্চলে সাহিত্য যথন ধর্ম-ভিত্তিক, তখন পশ্চিমাঞ্চলে অবধী, অপভ্রংশ, মৈথিলী, হিন্দী ইত্যাদি ভাষায় জীবন-রসাশ্রিত সাহিত্য সৃষ্টি হয়েছে। জৈন তীর্থঙ্করদের জীবন, ভক্তি ও উপদেশ নিয়ে রচিত সাহিত্যেও ভক্তির প্রশ্রয়ের সঙ্গে সঙ্গে লৌকিক জীবনবেদের সমর্থন আছে। প্রসিদ্ধ জৈন সাধক কবিদের নাম হল, চতুর্মুখ, স্বয়ম্ভু, দেবসেন, পদ্মকীর্তি, পুষ্পদন্ত, হরিষেণ, বীর, শ্রীচন্দ্র, নয়নন্দি, ঘনপাল, হেমচন্দ্র সূরি, শালিভদ্র সূরি, বিনয়চন্দ্র সূরি, রাজশেখর সূরি। হিন্দী সাহিত্য-সমালোচকগণ যাকে বলেন স্বচ্ছন্দ কবিতা অর্থাৎ যে সমস্ত কবিতা আনন্দের ও সহজ অনুভূতির, অপভ্রংশ ভাষায় সে সমস্ত সাহিত্যের উদাহরণও প্রাচীন যুগে বিদ্যমান। ‘সন্দেশরাসক'-এর কবি আবদুর রহমান... |
"Your personal data will be used to enhance your website experience, manage account access, and fulfill other described purposes in privacy & policy".
Chat with us